আরাফার দিন: ফজিলত, আমল ও ইতিহাস - পূর্ণাঙ্গ গাইড (২০২৫)

আরাফার দিন ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এটি হজের অন্যতম স্তম্ভ এবং এই দিনে আল্লাহ্র রহমত ও মাগফিরাতের দরজা উন্মুক্ত থাকে। এই পোস্টে আমরা আরাফার দিনের ফজিলত, আমল, ইতিহাস এবং তাৎপর্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আরাফার দিনের ফজিলত
- এই দিনে রোযা রাখলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনাহ মাফ হয়। (সহীহ মুসলিম)
- আরাফার দিনে আল্লাহ্ সবচেয়ে বেশি বান্দাদের মুক্তি দেন জাহান্নাম থেকে।
- দোয়া কবুলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দিন এটি।
আরাফার দিনের আমল
- রোযা রাখা (যদি হজে না থাকেন)।
- বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফার করা।
- তাহলীল, তাকবীর, তাহমীদ ও তাসবীহ পড়া।
- কুরআন তিলাওয়াত ও নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা।
আরাফার দিনের ইতিহাস
আরাফার দিন হজের নবম দিন, যখন হাজীরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। এই দিনেই হজের মূল রোকন 'ওকুফে আরাফা' পালন করা হয়। এটি হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আরাফার দিনের তাৎপর্য
এই দিনে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ রহমত বর্ষণ করেন। দোয়া কবুলের জন্য এটি একটি বিশেষ দিন, এবং এই দিনে ইবাদত করলে তার প্রতিদান অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।
আরাফার দিনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ
বিষয় | তথ্য |
---|---|
তারিখ (২০২৫) | ৭ জুন, ২০২৫ (সম্ভাব্য) |
ইবাদতের গুরুত্ব | অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ |
রোযার ফজিলত | পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনাহ মাফ |
দোয়া কবুলের সম্ভাবনা | উচ্চ |
উপসংহার
আরাফার দিন ইসলামে একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনে ইবাদত, দোয়া ও রোযার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করতে পারি। আসুন, আমরা এই দিনের গুরুত্ব অনুধাবন করে যথাযথভাবে পালন করি।